ইমামবাড়া
হাজার দুয়ারী প্যালেস এর ঠিক বিপরীত দিকে ইমামবাড়া অবস্থিত। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে সিরাজউদ্দৌলা নির্মিত কাঠের ইমামবাড়া টি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেলে নবাব হুমায়ুন জার পুত্র বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার শেষ নবাব নাজিম মনসুর আলী খাঁ, ফেরাদুন জা ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে প্রায় সাত লক্ষ টাকা ব্যয় করে বর্তমান ইমামবাড়া টি নির্মাণ করেন। এখনো প্রতি বছর মহরম উপলক্ষে মহরম মাসের প্রথম দশ দিন ইমামবাড়ার সম্মুখে জাঁকজমক সহকারে একটি মেলা বসে। বহু দূর দূরান্ত হতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন মহরম পর্বে যোগদান করেন এবং হাসান হোসেনের জন্য শোকাতুর হয়ে মাতম করে থাকেন। মহরম এর শেষ দিন সকাল বেলায় ইমামবাড়া হতে একটি শোভাযাত্রা বাহির হয় এবং হাসান হোসেনের নকল মৃতদেহ শবাধারে বহন করে নগ্নপদে বুক চাপড়ে হায় হাসান হায় হোসেন বলে শোকার্ত হৃদয়ে কারবালা প্রান্তর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা ৬/৭ ঘন্টা অতিক্রম করেন। এই দৃশ্য অতীব মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক। যদিও মহরম প্রতিবছর এখনো উদযাপিত হয়, তবুও অর্থাভাবের জন্য জৌলুসের জাঁকজমক বহুলাংশে কমে গেছে।
Comments