ভর ও ভার
মনে রাখবে চলতি কোথায় যতই আমরা দোকানে গিয়ে ওজন বা ভার মাপতে বলি না কেন আসলে সেটি হলো ভর। অর্থাৎ বস্তুটির মধ্যে কি পরিমান পদার্থ আছে। আর বাস্তবে ভার বা ওজন হলো বস্তুটির দ্বারা প্রযুক্ত বল। 5 কেজি বা 500 গ্রাম এগুলি হল বস্তুটির ভর যার পরিমাণ সব জায়গায় একই থাকবে কিন্তু এই কেজি দ্বারা প্রযুক্ত বল সব জায়গায় একই হবে না যেমন 5কেজি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাতে পরিমাপ করলে যতটা ভারী মনে হবে। বড়ো কোনও পাহাড়ের চূড়ায় অত ভারী মনে হবে না চাঁদে নিয়ে গেলে টো মনে হবে 5কেজি/6=833গ্রাম এর মতো মনে হবে। আর যদি সুর্যে নিয়ে গিয়ে ওজন করা যেতো তবে 5*23=115কেজির সমান ভারী মনে হতো।
তবে বুঝতে পারলাম যে যে বস্তুটির ভর বা বস্তুটির মধ্যে থাকা পদার্থের পরিমাণ এর কোনো পরিবর্তন হয় নি সেটা 5 কেজি ই আছে তবুও এক এক জায়গায় হাল্কা আর কোথাও ভারী মনে হয় তার কারণ বস্তুটির দ্বারা প্রযুক্ত বল সব জায়গায় একই হচ্ছে না। যেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশী সেখানে বেশি ভারী মনে হয় আর যেখানে কম সেখানে হাল্কা মনে হবে। যেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শুন্য যেমন পৃথীবির কেন্দ্র বা মহাকাশে সেখানে সেখানে সবকিছু ভার শুন্য মানে হাল্কা মনে হবে এতো হাল্কা যেনো সব ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু ভর শুন্য নয় কারণ তার মধ্যে কিছু একটা পদার্থ তো আছে সেটা ভূপৃষ্ঠে মানে ঘরে দাড়িপাল্লা তে মাপলে যা হবে ওখানেও তাই হবে। তোমার ওজন 70 কেজি হলে মহাকাশেও 70 কেজিই হবে কিন্তু নিজেকে এত হালকা মনে হবে যে তুমি বিনা পরিশ্রমে উড়ছো বা ভেজে বেড়াচ্ছ। কারণ আমরা জানি কোনো কিছুকে শুন্য দিয়ে গুণ করলে গুণফল শুন্য হয় তাই 70 কেজি ভরের কোনো বস্তু অভিকর্ষজ ত্বরণ শুন্য অঞ্চলে নিয়ে গেলে তার ভার হবে 70x0=0 নিউটন।
অর্থাৎ ভার বা ওজন=ভর x অভিকর্ষজ ত্বরণ
যেখানে ভর পদার্থের পরিমাণ যার একক SI বা MKS পদ্ধতিতে কেজি ও CGS পদ্ধতিতে গ্রাম।
আর ভার বস্তুটির দ্বারা প্রযুক্ত বল যার একক SI বা MKS পদ্ধতিতে নিউটন (N), CGS পদ্ধতিতে ডাইন (dyne) .
Comments